বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ফাঁকা নেই বরিশালে সমাবেশ স্থলের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকার হোটেল। ঠান্ডায় কম্বলের অভাবে কষ্টে সময় পার করছেন মাঠে থাকা নেতা-কর্মীরা। 

শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে সমাবেশস্থলের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির মহাসমাবেশ সফল করতে এবং পরিবহন ধর্মঘটের হাত থেকে রেহাই পেতে অসংখ্য নেতা-কর্মী আগেই হাজির হয়েছেন সমাবেশস্থলে। হোটেল আগেই বুকিং, তাই বাধ্য হয়ে মাঠেই রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। আবার ঠান্ডায় বরাদ্দ নেই পর্যাপ্ত কম্বল, তাই কম্বল নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। ফলে ঠান্ডা সহ্য করেই তাঁবু টানিয়ে শুয়ে বসে কোনোভাবে রাত কাটাচ্ছেন তারা। 

পিরোজপুর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার বলেন, কম্বল নিয়ে টানাটানি হতে পারে। তবে এটা আমাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়। এই সরকারকে দ্রুত সরিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবই। আমাদের একমাত্র দাবি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। 

ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, আমি একদিন আগেই নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে এসেছি। এখন পর্যন্ত আমার প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী এসেছে। প্রথমত ঠান্ডা এরপর হোটেলে থাকার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়েই নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠেই থাকতে হচ্ছে। সামান্য কম্বল সংকট রয়েছে কিছুই করার নেই। 

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, আমি যুবদলের ২-৩ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এসেছি। মাঠে ঠান্ডায় অনেক কষ্ট হচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে না ঘুমিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। সময় কাটছে, ভালো লাগছে। অনেকদিন পর এত মানুষ একসাথে হলাম। এত নেতা-কর্মীকে কম্বল দেওয়া সম্ভব না তাই একটু টানাটানি হতেই পারে। 

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের ৬-৭ হাজার লোক এসেছে। আরও ৭-৮ হাজার লোক ট্রলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পথে রয়েছে। আশা করছি, সকালের মধ্যে সবাই চলে আসবে। যারা মাঠে রয়েছে তারা ঠান্ডায় একটু কষ্ট করছে। আমাদের তেমন কোন সমস্যা নেই। আমরা রান্নার সামগ্রী সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে রান্না করে খাচ্ছি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে।

মো: আবীর হাসান/এসকেডি