নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে বরিশাল বঙ্গবন্ধু ‍উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ শুরু হয়। 

বরিশাল বঙ্গবন্ধু ‍উদ্যান বিএনপির নেতাকর্মীতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখর ‍উদ্যান। বিভিন্ন ‍এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ‍উদ্যানে আসছেন আরও নেতাকর্মী। 

মঞ্চে ‍এখনো সব অতিথি এসে ‍উপস্থিত হননি। সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, দুপুর ২টায় প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ‍ইসলাম আলমগীরসহ অন্য‍ান্য অতিথিরা মঞ্চে আসবেন। 

গণসমাবেশের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। তার আগে দেশবাসী ও খালেদ জিয়া-তারেক রহমানের জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়।

গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে বেলস পার্কে হাজির হয়েছেন। এর আগেও ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশে একইভাবে সব পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। বরিশালেও জনজোয়ার অব্যাহত রয়েছে। আমরা একটু আগেই সমাবেশ শুরু করেছি। নেতাকর্মীরা আসছেন সমাবেশস্থলে। কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা অল্প সময়ের মধ্যেই সমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, কোটি নেতাকর্মীর দাবি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অন্যায্য জেল-জুলুম থেকে পরিত্রাণের। মঞ্চে তাদের ফিরে আসার জন্যই আসন খালি রাখা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু উদ্যানের এই সমাবেশে নেতাকর্মীরা দেখিয়ে দিয়েছেন ‍এই সরকারের আর সময় নেই, যেকোনো মুহূর্তে পতন ঘটবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আবির হাসান/এসপি