নারীদের নিয়ে গড়ে তোলা একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতা বীনা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

রংপুরে সুন্দরী নারীদের নিয়ে গড়ে তোলা একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতা বীনা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। চক্রের নারী সদস্যদের প্রেমে পড়ে অনেকেই সব হারিয়েছেন। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি (৩৪), আহসান হাবীব (২৫), বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ (১৯), সেকেন্দার রাজা (২৮), শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম (৫৫), সোহাগী ওরফে রাজিয়া (৩২), জোনাকি ওরফে তিশা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি (২০), শাহনাজ (৩৫) ও লিজা মনি (১৯)।

প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের পর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার (০৫ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ৩ মার্চ প্রেমের ফাঁদে ফেলে নীলফামারীর এক ব্যবসায়ীকে রংপুর নগরীর নুরপুর করবস্থান এলাকার চারতলা বাড়িতে নিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে তাকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা ও তার বন্ধুর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা

এ ঘটনায় মামলা হলে বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকা থেকে চক্রের মূলহোতা বীনা রানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বীনা রানীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের আরও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

দীর্ঘদিন ধরে চক্রের সদস্যরা সহজ-সরল মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি বীনা রানীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার দিতে বাধ্য হন। ওই ব্যক্তি বীনার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এই চক্রের মূলহোতা বীনার বিরুদ্ধে দুটি মানবপাচার মামলাও রয়েছে।

আব্দুল রশিদ, ওসি, রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা

 গ্রেফতারকৃতদের কাছে থাকা ১৩টি মোবাইল, মানুষকে জিম্মি করে নেওয়া তিনটি এটিএম কার্ড ও ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি আব্দুল রশিদ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএম