নবগঠিত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর রবিউল ইসলাম সীমান্তকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাবনা আলিয়া মাদরাসার সামনে থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভটি বড় ব্রিজ হয়ে আব্দুল হামিদ রোড ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ঘুরে ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘মীর রবিউল ইসলাম সীমান্ত কখনই পাবনায় রাজনীতি করেননি, পাবনার কোনো নেতাকর্মী তাকে চেনেন না। তিনি ঢাকায় লেখাপড়া করেছেন, ঢাকায় রাজনীতি করেছেন। হঠাৎ করে তাকে পাবনায় নিয়ে এসে একটি চক্র পদ দিয়েছেন। অথচ একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একাধিক ত্যাগী ও পরীক্ষিত ছাত্রনেতা রয়েছেন পাবনায়, তাদের বাদ দিয়েই যাকে কেউ চেনেন না তাকে সাধারণ সম্পাদক বানানো হলো। আসলে পাবনায় ছাত্রলীগের রাজনীতি ধ্বংস করার লক্ষ্যে তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।’

তারা আরও বলেন, ‘রূপপুরের বালিশকাণ্ডসহ একাধিক দুর্নীতির হোতা আলোচিত ঠিকাদার শাহাদত হোসেনের ইন্ধনে মীর রবিউল ইসলাম সীমান্তকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কারণ সীমান্ত তাকে অন্যতম প্রোটোকল দিয়ে থাকেন। একজন বিতর্কিত ঠিকাদারকে যদি প্রোটোকল দিলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো পদ পাওয়ায় যায়, তাহলে আমাদের মাঠের রাজনীতি করার দরকার কী?’

চলমান আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা তাকে এই পাবনায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। তিনি পাবনায় এসে পৌঁছালে তাকে প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে আমরা সমস্ত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা আমাদের আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে যাব। সেখানে অবস্থান নিয়ে জননেত্রীর কাছে বিচার চাইব।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম বাবু, সাইফুল ইসলাম, নিয়ন খান, সাইদুজ্জামান সজীব, রাকিব বিশ্বাস ও রিয়ন বিশ্বাস প্রমুখ।  বিক্ষোভে কয়েকশ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তারা কমিটি বাতিলের দাবিতে নানান স্লোগান দেন।

এর আগে সোমবার (০৭ নভেম্বর) পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মীর রবিউল ইসলাম সীমান্তকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে হাবিবুর রহমান রিঙ্কু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মুজিবুর রহমান খান ও হাসিব বিশ্বাস ফারাবীকে। এছাড়া এই কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মেহেদী হাসান, শাওন রেজা খান, সানাউল্লাহ সানি ও তৌশিকুর রহমান রাভাকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য করা হয়েছে।

রাকিব হাসনাত/এসপি