টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়ের মৃত্যুর পর মরদেহ সৎকারের প্রস্তুতির সময় শোকে আত্মহত্যা করেছেন মা বাসন্তী বণিক (৫০)। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নগর ভাতগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

মৃত বাসন্তী বণিক ওই গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বণিকের স্ত্রী। এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে পূজা বণিক (১৮) কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাসন্তী ও প্রাণকৃষ্ণ দম্পতির একমাত্র সন্তান কলেজছাত্রী পূজা বণিক কিডনিজনিত  রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পূজার মৃত্যু হয়। রাতেই তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। পরে শুক্রবার সকালে মরদেহ সৎকার করার প্রস্তুতির জন্য ঘর থেকে বের করে বাইরে রাখা হয়। এ সময় মেয়ের মৃত্যুর শোকে মা বাসন্তী বণিক ঘরের ভেতরে গিয়ে হেক্সিসল পান করেন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাসন্তী বণিকের ভাই বিপ্লব কুমার বণিক বলেন, পূজা কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ছিল। মেয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে বাসন্তী বণিক ঘরে থাকা হেক্সিসল পান করেন।  তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মা ও মেয়ের মরদেহ একসঙ্গে সৎকার করা হয়। 

মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই কষ্টদায়ক। মেয়ের মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মৃত বাসন্তী বণিকের ভাই অপমৃত্যু মামলা করেছেন।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর