মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্কচটেপে প্যাঁচানো বস্তু বিস্ফোরণে আব্দুল্লাহ (৮) নামের এক শিশুর হাতের কবজি উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মুখে গুরুতর আঘাত পায় তার খেলার সঙ্গী মারিয়া (৮)।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বাঘড়া তালুকদার বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আব্দুল্লাহ ওই এলাকার দিনমজুর বাবু শেখের ছেলে ও মারিয়া রিকশাচালক রুবেল শেখের মেয়ে। আহত দুই শিশু সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।

তাৎক্ষণিক আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এবং মারিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, আব্দুল্লাহ ও মারিয়া বাড়ির নিচে পরিত্যক্ত নিচু জমিতে খেলতে যায়। এ সময় আব্দুল্লাহ কুড়িয়ে পাওয়া স্কচটেপ প্যাঁচানো বস্তু নিয়ে খেলা শুরু করে। একপর্যায়ে বস্তুটি বিস্ফোরণ ঘটলে আব্দুল্লাহর ডান হাতের কবজি উড়ে যায়। বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে মাংসপিণ্ড ও হাতের আঙুল পরে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দ্রুত শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়। মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে আব্দুল্লাহকে পঙ্গু হাসপাতালে এবং মারিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত শিশু আব্দুল্লাহর চাচি হেনা বেগম (৪০) জানান, প্রচণ্ড শব্দের পর ঘটনাস্থল ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায়। বিস্ফোরণে সেখানে গাছের ছাল–বাকল উঠে গেছে। হাতের বিভিন্ন অংশ ও স্কচটেপ ও লোহার ছোট ছোট স্ক্রু সেখানে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ এসে সেগুলো নিয়ে যায়।

ওই এলাকার দোকানি জিন্নাত ব্যাপারী বলেন, ‘হঠাৎ শব্দে মাটি কেঁপে উঠে। তারপর কান্নাকাটি আওয়াজ শুনে এই বাড়িতে এসে দেখি আব্দুল্লাহর অবস্থা ভালো না।’

আব্দুল্লাহর ফুপু সখী বেগম (৩০) বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না। গ্রামের লোকজন চাঁদা তুলে ওদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। বিস্ফোরিত বস্তুটি ককটেল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

ব.ম শামীম/এমএ