কুড়িগ্রামে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার সবজির আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। এছাড়া বাজারেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার ও কীটনাশকের সহজলভ্যতা থাকলে আরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। অনুকূল আবহাওয়ায় মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা ও বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। নিড়ানি, কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ প্রদানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবার কোথাও কোথাও আগাম সবজি বিক্রি করছে অনেক চাষি।

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, সার ও কীটনাশকের দাম একটু বেশি হওয়ায় কপি চাষে বর্তমানে এক একর জমিতে খরচ হবে প্রায় ১ লাখ টাকা। তারপরও বর্তমান যে বাজার রয়েছে এরকম থাকলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিম চাষি মাহাবুব রহমান বলেন, গত বছর ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করে ভালোই লাভবান হয়েছি। সেই আশায় এবারও এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করছি। এবার ভাইরাসের কারণে পাতা পেকে যাচ্ছে। কীটনাশক দিচ্ছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। কি যে হবে বুঝতে পারছি না।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর শীতকালীন শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। যেহেতু অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে আশা করা যায় পর্যাপ্ত ফলন হবে এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। বর্তমানে সারের মজুদও রয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের হতাশ হবার কোনো কারণ নেই।

মো. জুয়েল রানা/এমজেইউ