নাটোরের লালপুরে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতায় জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত্যুর সনদ দিয়ে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া সেই ছখিনা বেগমের (৭০) পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যান তিনি। এসময় ৩০ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, ২ কেজি চিনি ও ২ প্যাকেট সেমাই পৌঁছে দেন এবং তার খোঁজখবর নেন ইউএনও।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রনজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বপন, ৭নং ইউপি সদস্য ঝন্টু আলী প্রমুখ।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ‌‌‘বয়স্ক ভাতা বন্ধ, সেই বৃদ্ধার ঘরে নেই খাবার’ শিরোনামে ছখিনা বেগমকে নিয়ে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে ইউএনওর। তিনি তাৎক্ষণিক খাবার নিয়ে ছুটে যান তার বাড়িতে।

ভুক্তভোগী ছখিনা বেগম (৭০) নাটোরে লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নূরুল্লাপুর গ্রামের মৃত আ. সাত্তারের স্ত্রী।

সহায়তা পেয়ে ছখিনা বেগম বলেন, আমি অনেক খুশি ইউএনও মহোদয় আমার বাড়িতে আমাকে দেখতে এসেছেন। আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমার খাবার ব্যবস্থা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সখিনা বেগমের সঙ্গে দেখা করে তার বয়স্কভাতার কার্ডের ভুল দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশোধনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে খাবার সহায়তা প্রদান করা হয়। 

প্রসঙ্গত, ছখিনা বেগমের নামে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু স্বাক্ষরিত একটি মৃত্যু সনদ জমা দেওয়া হয়েছে। সনদে উল্লেখ আছে, উপজেলার নূরুল্লাপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দনি প্রামাণিকের মেয়ে ছখিনা বেগম ৮ জানুয়ারি ২০২২ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন।

বৃদ্ধা ছখিনা বেগম সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছিলেন। হঠাৎ তাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ করে অন্য একজনের নামে ভাতা চালু করার জন্য সমাজসেবা অফিসে আবেদন করা হয়। চেয়ারম্যানের দেওয়া মৃত্যু সনদের কারণে বৃদ্ধা ছখিনার ভাতা সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।

তাপস কুমার/এমএএস