সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগীখালী ইউনিয়নের মমতাজ আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ছেলের বউভাত অনুষ্ঠান করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদ আলী। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। 

এরশাদ আলী কলারোয়া উপজেলার যুগীখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মমতাজ আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। 

স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার হোসেন বলেন, মমতাজ আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিয়ের প্যান্ডেল করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এরশাদ আলী। বুধবার সকাল থেকে সেখানে বউভাত অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিদ্যালয়ের পাঠদান চলার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে স্কুলের মাঠ দখল করা হয়। স্কুলের মাঠ দখল করে এরশাদ আলী ছেলের বউভাত অনুষ্ঠান করেছেন। 

এ বিষয়ে যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসান বলেন, ঘটনা সত্য। স্কুল বন্ধ করে মাঠে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কাজটা করা ঠিক হয়নি।

এরশাদ আলী বলেন, এটা তো শহর না যে হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান করব। এটা হলো গ্রাম, জায়গা কম। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে প্যান্ডেল করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে খাওয়ানো সম্ভব না, তাই তাদের ছুটি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপজেলার সবাইকে দাওয়া করেছিলাম, তবে কেউ আসেননি। 

মমতাজ আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি এরশাদ হোসেন ছেলের বউভাত অনুষ্ঠান করবেন বলে জানিয়েছিলেন। স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান চলায় শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাৎক্ষণিক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি বিষয়টি সত্য। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি এরশাদ আলীসহ প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্য লিখিত উত্তর না পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুলী বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি সত্য হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।

আরএআর