ঘর পেয়ে খুশি সাগরিকা
নতুন ঘর পেলেন ৫১ বছর বয়সী সাগরিকা বেগম। এর আগে এক ছেলে ও বৃদ্ধ স্বামী কবির হোসেনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গুলবাহার মিয়াজীর বাড়ির একটি ভাঙা ঘরে বসবাস করতেন তিনি।
সেখানে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হলেই ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়তো। কিন্তু ৬০ বছর বয়সী অসুস্থ স্বামীর আয়ের টাকা দিয়ে যেখানে সংসার চালানো ছিল কষ্টকর, সেখানে ঘর করা ছিল দুঃস্বপ্ন।
বিজ্ঞাপন
তার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে জীবন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি ফয়সাল চৌধুরী জীবন পাশে দাড়াঁন।
স্থানীয়রা জানান, অসহায় সাগরিকা বেগমের এমন সংবাদ পেয়ে ফয়সাল চৌধুরী জীবন নিজেই সরেজমিনে ওই অসহায় পরিবারের বাড়িতে ছুটে যান। প্রতিশ্রুতি দেন কিছুদিনের মধ্যে একটি নতুন ঘর করে দেওয়ার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয় কবির হোসেন মিয়াজীকে। ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ওই অসহায় পরিবারটি।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি দু’হাত তুলে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে ঘর উপহার দাতা ফয়সাল চৌধুরীর জীবন ও তার পরিবারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
সাগরিকা বেগম জানান, আমার এক ছেলে ও স্বামী নিয়ে দীর্ঘদিন একটি ভাঙা ঘরে বসবাস করছিলাম। স্বামী বৃদ্ধ ও ছেলে কর্মহীন হওয়ায় ঘর করার সামর্থ্য ছিল না আমাদের। এ সংবাদ পেয়ে গুলবাহার গ্রামের অধিবাসী ফয়সাল চৌধুরী জীবন আমাদের একটি ঘর নির্মাণ করে দেন। আমরা খুবই খুশি এবং তার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে ওই পরিবারটি খুবই অসহায় একটি পরিবার। চৌধুরী ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ফয়সাল চৌধুরী জীবন ভাই কবির হোসেন মিয়াজীকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে সুন্দর একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। এজন্য কাদলা ইউনিয়বাসীর পক্ষ থেকে ফয়সাল চৌধুরী জীবনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি তিনি যাতে এভাবে সকলের পাশে থেকে অসহায় মানুষকে সেবা দিতে পারে সেজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে ফয়সাল চৌধুরী জীবন জানান, মানুষ মানুষের জন্য। সাগরিকা বেগমের পরিবারকে ঘরটি দিতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।
আনোয়ারুল/এমএএস