রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগ নেতা অলিউল হাসান জুয়েলের পরিবারকে অর্থসহায়তা দিয়েছে জামায়াত ইসলামী। বুধবার (১৬ নভেম্বর) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের আদানীর মোড় এলাকায় নিহত জুয়েলের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার বিধবা মা সালমা কুলসুমের হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ড. মো. খায়রুল আনাম। 

অলিউল হাসান জুয়েল সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শহরে নিয়ামতপুর আদানী মোড় এলাকার মৃত মঞ্জু সরকারের ছেলে। তিনি দিনাজপুর শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা-ইন-প্যারামেডিকেলে পড়াশোনা করে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে তাসিন ও রেখা এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

টাকা প্রদানের সময় জামায়াতের নীলফামারী জেলা মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল কাদিম, সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফেজ আবদুল মুনতাকিম, শহর আমির শরফুদ্দিন খান, সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম, নীলফামারী শহর শিবিরের সভাপতি ময়নুল ইসলাম, সৈয়দপুর পৌর শিবিরের সভাপতি মো. লোকমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত জুয়েল তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে মা অসহায় হয়ে পড়েছেন। জুয়েলের অসহায় বিধবা মা সালমা কুলসুমকে সহযোগিতা করেছি। এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা। অসহায় পরিবারকে এ ধরনের সহযোগিতা জামায়াতে ইসলামী বরাবরেই করে থাকে।

সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোমেন শাহরিয়া টুটুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জুয়েল দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। দলের পক্ষ থেকে জুয়েলের পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে জামায়াতের পক্ষে যে তার পরিবারকে অর্থসহায়তা করেছে তা আমার জানা নেই। 

প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের শলেয়াশাহ বাজারের অদূরে ঢাকাগামী নাইট কোচের সঙ্গে দিনাজপুরগামী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৯ জনসহ মোট ১১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে জুয়েল, সাগর ও শাহিনের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুরে। সাগর ঘটনাস্থলে এবং জুয়েল ও শাহিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শরিফুল ইসলাম/আরএআর