পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও ফেনীর মো. মেজবাহারের মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় পরশুরাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ মরদেহটি নিয়ে আসেনি। মরদেহটি ভারতের বিলোনিয়া থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একেএম আরিফুল ইসলাম জানান, গত রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত থেকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গুথুমার মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে দিনমজুর মো. মেজবাহারকে তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ। অপহরণের সময় সীমান্তঘেঁষা বাঁশপদুয়ায় তিনি নিজ জমিতে ধান কাটছিলেন। অপহরণের পাঁচ দিন পরও বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত না দেওয়ায় পরশুরাম সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহত মেজবাহারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেজবাহার বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন বিজিবির সীমান্ত ফাঁড়ি ও পরশুরাম থানা পুলিশকে অবহিত করেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে শূন্যরেখায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে তাকে প্রথম দিনই হত্যা করা হয়েছে।

পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মেজবাহার হত্যাকাণ্ডের পর পরশুরামে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সীমান্ত এলাকার জমিগুলোতে ফসল লাগানো এবং কাটার বিষয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন মহলকে অবগত করা হয়েছে।

এমজেইউ