আইনমন্ত্রীর সামনে সংঘর্ষ: মামলা হয়নি এখনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার এক দিন পার হলেও কাউকেই আটক করতে পারেনি থানা পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর পর শুক্রবার নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এদিন স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কসবায় আসেন মন্ত্রী। দীর্ঘদিন পর মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তাকে স্বাগত জানাতে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল নিয়ে কসবা উপজেলা পরিষদে যান কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজ। তারা দুজনই আসন্ন কসবা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বেলা ১১টায় দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষ থেমে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরবর্তীতে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কসবা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগও করে সংঘর্ষকারীরা। পরবর্তীতে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই পুলিশি প্রহরায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া শনিবার রাত সোয়া ৯টায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। কোনো আটকও নেই। পুলিশ দুই পক্ষের মাঝখানে ছিল, সেজন্য তাদের মুখোমুখি হতে দেয়নি। আমরা অনুরোধ করে দুই পক্ষকে থামিয়েছি।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি