জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মঞ্চের পেছনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাঁচবিবি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী হাইস্কুল মাঠে ধরঞ্জী ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনস্থলে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ধরঞ্জী ইউনিয়ন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টায় ধরঞ্জী ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে দলটির একটি পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলন উদ্বোধনের সময় মঞ্চের পেছনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। তখন নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থল ছেড়ে পাশের পাড়ইল গ্রামে গিয়ে আংশিক কমিটি ঘোষণা করে সম্মেলন স্থগিত করেন।

পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ডালিম বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা সম্মেলন স্থল থেকে কিছু দূরে গিয়ে ধরঞ্জী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটির শুধু সভাপতির নাম ঘোষণা করেছি। সভাপতি হয়েছেন আব্দুল হাকিম মণ্ডল। এরপর সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যদের নাম পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকতেই পারে। তবে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন।

পাঁচবিবি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইশতিয়াক আলম বলেন, সম্মেলন শুরুর সময় মঞ্চের পেছনে ককটেল জাতীয় কিছু বিস্ফোরিত হয়। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জাড়ান। পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩০ থেকে ৪০টি লাঠি জব্দ করা হয়েছে। দলটির নেতকর্মীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। 

চম্পক কুমার/আরএআর