চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ছাত্রদলের কর্মী সভাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এসময় পুলিশের বাধায় সভা পণ্ড হয়ে গেছে। সভাস্থল থেকে আরও ৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে নাচোল থানা পুলিশ। 

রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার অক্সফোর্ড একাডেমি চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি ও ছাত্রদলের দাবি, পুলিশ জোরপূর্বক সভা করতে বাধা দেয় তাদেরকে। অন্যদিকে, পুলিশের পাল্টা দাবি, অনুমতি ছাড়াই সভার আয়োজন করায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, নাচোল থানার কনস্টেবল আলমগীর হোসেন ও মো. পলাশ। 

নাচোল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মিন্টু রহমান মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার বিকেলে পুলিশের কোনো অনুমতি ছাড়াই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শ্রীরামপুর এলাকার একটি মাঠে সভার আয়োজন করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আরও ৫টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। 

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ককটেল হামলায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে এবং তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান ইমতিয়াজ মুঠোফোনে জানান, আগামী ৩ নভেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে রোববার বিকেলে ছাত্রদলের কর্মীরা প্রস্ততি সভার আয়োজন করে। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের বাধায় সভা পণ্ড  হয়ে যায়। পরে ছাত্রদল কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তবে বিএনপির অপর পক্ষের লোকজন আমাদের ফাঁসানোর জন্য হয়তো ককটলে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। 

জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউসুফ রাজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নাচোল থানা থেকে সকালেই মৌখিকভাবে সভা করার অনুমতি নিয়েছিলাম। তবে এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা আমার জানা নেই। তবে একটা ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে আমি শুনেছি।

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এমএএস