শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় হাত-পা বাঁধা আহত অবস্থায় তার স্বামীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।  

এদিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অবস্থায় তার স্বামীকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আহত মিলন হাওলাদার বাবুগঞ্জের ইট-সিমেন্টের ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী মারুফা গৃহিণী ছিলেন। তবে হত্যার কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।

দেহেরগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। ঘটনার পরপরই ওই ঘরের কলাপসিবল গেট ও যে কক্ষে ঘটনা তার দরজা খোলা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।

মিলন হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে আরমান খান বলেন, মাঝরাতে খবর পাই চাচার ঘরে ডাকাত ঢুকেছে। সেখানে গিয়ে দেখি আমার চাচি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে আর চাচা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছেন। আমরা চাচাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং পুলিশে খবর দেই। তবে কারা এই ঘটনা ঘটাল তা এখনো বলতে পারছি না। 

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘটনার সময়ে মিলনের দুই ছেলে ও এক ভায়রার মেয়ে বাসায় ছিলেন। শুনেছি ডাকাত আসার আতঙ্কে তারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে ঘরে দুজনকে পেয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে।

তবে আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, পারিবারিক বিরোধে এই ঘটনা ঘটতে পারে। নিজেদের পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। 

বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে মারুফা নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার স্বামী মিলন হাওলাদারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাব। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে