কক্সবাজার বিমানবন্দরে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির ব্যাগে ৫ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার উৎস ও নথি জানতে চাওয়া হলে তিনি কর্মকর্তাদের ঘুষ অফার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই ব্যক্তিকে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক পুলিশ সদস্যের পরিচয় কেউ নিশ্চিত না করলেও বিমানবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আটক পুলিশ সদস্যের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। তিনি কক্সবাজার কোর্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।

ওই সময় বিমানবন্দরের স্ক্যানারের দায়িত্বে থাকা বাহার খান বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক ব্যক্তির ব্যাগ স্ক্যানারে দেওয়া হয়। তখন সেখানে মোটা অংকের নগদ অর্থ দেখা যায়। তখন তার কাছে এ টাকার উৎস বা বৈধ কাগজ-পত্র চাওয়া হয়। তিনি না পারলে তাকে আমরা দায়িত্বরত এপিবিএনের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেয়। তখন তিনি নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে আমাকে এক লাখ টাকা ঘুষ অফার করেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ এবিপিএনের বিমানবন্দর ক্যাম্পের ইনচার্জ তাহসিন তাজ বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, নগদ অর্থসহ কোনো কর্মকর্তা আটকের খবর তার কাছে নেই। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দায়িত্ব অবৈধ কিছু গেলে তা আটকানো। টাকার ক্ষেত্রে আমরা নিজেরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। তাই এপিবিএনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রবিউলকে নিজেদের সদস্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সারোয়ার আলম বলেন, তাকে কেন আটক করা হয়েছে তা আমি এখনো জানতে পারিনি। বিস্তারিত জেনে জানাব।

সাইদুল ফরহাদ/এসপি