চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানকে লিভার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্ত্রী রোজী রহমান। বর্তমানে তারা দুজনই সুস্থ আছেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মেয়র মতিয়ার রহমানের ছোট ভাই আতিয়ার রহমান হাবু। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের প্রায় পুরো লিভারই অকেজো হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসক তাকে দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করতে বলেন। কিন্তু অন্য কারও সঙ্গে না মেলায় অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ভাবির সঙ্গে শতভাগ মিলে যাওয়ায় তিনি দিতে সম্মতি জানান। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে টানা ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে লিভার প্রতিস্থাপন সফল হয়। ভাবি তার লিভারের ৩০ শতাংশ ভাইয়াকে দিয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভাবির জ্ঞান ফিরলেও ভাইয়ের জ্ঞান এখনো ফেরেনি। তবে বর্তমানে দুজনই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. রবিউল হক সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়র মতিয়ার রহমান লিভার সিরোসিসের রোগী ছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করেও মেলাতে পারেননি। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে শতভাগ মিলে যায়। 

সে সময় তার স্ত্রী রোজী রহমান বলেন, আমার স্বামীকে যদি বাঁচাতে পারি তাহলে আমার জীবন ধন্য। এরপরই বৃহস্পতিবার ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে টানা ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে লিভার প্রতিস্থাপন সফল হয়। নিজের জীবন বিপন্ন করে স্বামীকে নিজের লিভার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্ত্রী। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে লিভার সমস্যায় ভুগছিলেন মেয়র মতিয়ার রহমান। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন তার লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া উপায় নেই। তাই নিজের স্ত্রী তার স্বামীকে বাঁচাতে লিভার দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করা হয়।

আফজালুল হক/এসপি