ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে কাওসার খান (৪১) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরের শুরা ভাঙ্গার মাথা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং করা বালুর স্তূপের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত কাওসার খান চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের এম কে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল খানের ছেলে। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার ট্রলার ও ট্রাক আছে। তা দিয়ে তিনি বালু পরিবহনের কাজ করতেন। এছাড়া তিনি কাঠের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কাওসার শেখ বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম শারমিন আক্তার। কথা (৮) ও লাবিনা (৬) নামে তার দুটি মেয়ে আছে।

চরহরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কুদ্দুস মন্ডল জানান, সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কয়েকজন নারী পদ্মা নদীতে পানি আনতে গেলে কাওসারের মরদেহ বালুর স্তূপের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই নারীরা বিষয়টি তাকে জানালে তিনি চরভদ্রাসন থানায় খবর দেন। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

চরভদ্রাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, নিহতের গলায় ছুরির আঘাত রয়েছে। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে ছাই রঙের জ্যাকেট ছিল।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কাওসার। রাত ৯টার দিকে তিনি বাড়িতে না ফেরায় কাওসারের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাওসারের কোনো খবর জানা যায়নি। কাওসার রাতে বাড়িতে ফিরে আসবে ভেবে সারারাত ঘরের দরজা খোলা রাখা হয়। কিন্তু তিনি ফিরে আসেননি। সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কোনো প্রলোভন দেখিয়ে ওই ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে। তার গলার বাম পাশে গভীর ক্ষত করে ছুরি জাতীয় কোনো ধারাল অস্ত্রের একটি কোপ রয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জহির হোসেন/আরএআর