বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জনগণ অর্ধাহারে-অনাহারে দিশেহারা। সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট আড়াল করতে মিথ্যাচার করছে। আবারও নিজেদের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। 

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কাশিয়ার চরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধান, রবিশস্যের বীজ, সারসহ কৃষিপণ্য এবং গবাদিপশু বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে আওয়ামী লীগের উচিত একগুঁয়েমি পরিহার করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা। সরকার দাবি না মানলে গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটানো হবে। 

আগামী ১০ ডিসেম্বর এক দফার আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলনে সবাই প্রস্তুতি নিন। ওই আন্দোলনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, এ্যাবের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, বিএনপির ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা হাফেজ আজিজুল হক, এ্যাব নেতা কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ নূরন্নবী ভূইয়া শ্যামল, কৃষিবিদ হেলাল উদ্দিন, কৃষিবিদ আবুল খায়ের দীপু, কৃষিবিদ সারোয়ার হোসেন, কৃষিবিদ মাহবুবুর রশিদ, কৃষিবিদ এয়ার মাহমুদ, কৃষিবিদ জসিম উদ্দিন জনি প্রমুখ। 

উবায়দুল হক/আরএআর