টাকার বান্ডিল নিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিল ১০ বছর বয়সী দুই শিশু। পণ্য কেনার পর দোকানিকে এক হাজার টাকার নোট দিলে তিনি দেখেন তা জাল। দোকানির সন্দেহ হলে তিনি জানান পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে শিশুটির কাছ থেকে উদ্ধার করে ৯০ হাজার টাকার জাল নোট। এরপর শিশুদের সূত্র ধরেই সন্ধান পাওয়া যায় জাল নোট তৈরির কারখানার। মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় আরও ২৪ লাখ টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঘটেছে এমন ঘটনা।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃণ্ডদেবস্থান গ্রাম থেকে ওই সব জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মো. আবুল কাশেম (৭০) এবং তার দুই নাতিকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের বৃণ্ডদেবস্থান গ্রামের বৃদ্ধ কাশেম মিয়ার দুই নাতি শনিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জাল নোটের বিষয়টি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে শিশু দুটিকে নিয়ে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তারা কাশেমের ঘরে প্রবেশ করে একটি বড় ট্রাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ উদ্ধার করেন। ওই কাগজগুলোয় টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতার মতো কিছু দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। 

একপর্যায়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফুল একটি চালাঘরে ঢুকে বালু খুঁড়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করেন। ওই ব্যাগের ভেতরে ১ হাজার টাকার নোটের ২৪টি বান্ডিল পান। প্রতিটি বান্ডিলে ১০০ টাকার জাল নোট ছিল। পুলিশ আরেকটি ঘরের সিলিং তল্লাশি করে নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে দুই বান্ডিল কাগজ উদ্ধার করেছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, দুই শিশু ও তাদের নানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সুমন মিয়া জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

উবায়দুল হক/এসএসএইচ