গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্রলীগের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদেলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার জমজম সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব হাসান বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ ২৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে। 

মামলার আসামিরা হলেন- শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক সিংগারদিঘী গ্রামের শামীম মোড়লের ছেলে জিয়াউল হক ওরফে রিফাত মোড়ল (২৭), ছাত্রদল নেতা বাপ্পি সরকার (২৫), সজিব শিকদার (২৫), আবু তাহের প্রধান (৪০), মাছুম (২৮), শিপন (৩৬), সালাম শেখ (৪০), নাজমুল শেখ (২৮), আল-আমিন (৩৮), ওবায়দুর রহমান মন্ডল সোহেল (৪৫), সোহেল ফকির (৪২), সুমন আহমেদ আকন্দ (৩৫), সরোয়ার হোসেন শেখ (৪০), মোঃ মোসলেম উদ্দিন মৃধা, মাসুম (২৭), মমিন সরকার (২৭), সাদ্দাম, সেলিম, আলম (৪৫), রবিন আহমেদ (২৫), ইফরান (২৫), তানভীর (২৫) ও মোবারক হোসেন শ্যামল (৪৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) আনিছুর আশেকীন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদল কর্মীদের নিক্ষিপ্ত অবিস্ফোরিত ককটেল ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্বকাপ খেলা দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাস্টারবাড়ি থেকে মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মহাসড়কের পাশে জমজম সুপার মার্কেটস্থ মায়ের দোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। আহতদের ডাক চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ সময় আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব হাসান বলেন, বিশ্বকাপ খেলা দেখে ফেরার সময় সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনিসংহ মহাসড়কের গিলারচালা এলাকায় আসা মাত্রই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়লের নেতৃত্বে ২৫-৩০জন ছাত্রদল নেতাকর্মী লাঠিসোঠা, রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিন-চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। হঠাৎ হামলার ঘটনায় নেতাকর্মীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয়, সিয়ামসহ ৪-৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের সেখান থেকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়ল বলেন, হামলার অভিযোগ পুরোই মিথ্যা ও সাজানো। এ ধরনের হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর ককটেল হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শিহাব খান/আরএআর