সর্বশেষ ২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমা চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহীর একমাত্র সিনেমা হল রাজতিলক। দীর্ঘ ১০ বছর পরে ফের নতুন রূপে চালু হচ্ছে সিনেমা হলটি। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। দর্শক খড়ায় বন্ধ হওয়া হলটি সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বাকি রয়েছে রঙ ও বসার চেয়ার স্থাপন। এরপরে চলতি বছরের যেকোনো দিন রাজতিল হলটি ‘নিউ রাজতিলক’ সিনেমা হল নামে যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, হলে সিনেমা দেখা রাজশাহীর মানুষের অনেক দিনের আক্ষেপ। সেই আক্ষেপের অবসান ঘটবে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে রাজশাহীতে কোনো সিনেমা হল চালু নেই। নতুন রূপে রাজতিলক সিনেমা হলটি চালু করা হবে। ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে গত দুই মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। দিন-রাত সমান তালে শ্রমিকরা এখানে কাজ করছে।
  
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমা চলাকালে শহরের অদূরে পবার কাটাখালী বাজারের পুরনো রাজতিলক হলটিও বন্ধ হয়ে যায়। তখন রুম্মান হলটি কিনে নেন। কিন্তু তিনিও হলটি চালু করতে পারেননি। তার পরে দীর্ঘ দিন এমন অবস্থায় পড়ে ছিল। এবার তার কাছ থেকে হলটি নিয়ে চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন চলচ্চিত্রের প্রডাকশন ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন সাগর।

প্রডাকশন ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন সাগর জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে সিনেমার সঙ্গে আছি। চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রতি ভারতে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। সিনেমা হল চালানোর অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের।

তিনি বলেন, এই হলে পুরো প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেম ডিজিটাল হবে। একসঙ্গে প্রায় ৬০০ দর্শক সিনেমা দেখতে পারবে। দর্শকেরা সিনেমা হলমুখী করার লক্ষ্যে এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রচারণা চালানো হবে। রাজশাহীতে যেহেতু সিনেমা হল চালু নেই, তাই এই হলটি চলবে বলে মনে করছি। সেই বিশ্বাস থেকে হলটি চালু করছি।

রাজতিলক সিনেমা হল মালিক মো. রুম্মান বলেন, সিনেমা হল সংস্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন মাত্র ২০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। কাজ শেষ হলে দ্রুতই হল উদ্বোধন করা হবে। ডিসেম্বর মাসে হলটি উদ্বোধনের চিন্তা ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবীদ অপু বলেন, সিনেমা হল হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি আবার ফিরে আসছে। তাতে করে নতুন করে সিনেমাপ্রেমিরা জেগে উঠবে। একসঙ্গে অনেক মানুষের সিনেমা দেখার যে আনন্দ সেটি পাবে নতুন প্রজন্ম।

এমএএস