বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের দুই দিন আগেই রাজশাহীতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। শুয়ে-বসে তারা সমাবেশস্থলে সময় কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিভাগের আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় নেতাকর্মীরা আগেই রাজশাহীতে এসেছেন। 

দুপুরে সমাবেশস্থল মাদরাসা মাঠের পাশের ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা ঈদগাহ মাঠে ত্রিপল বিছিয়ে অনেকেই সেখানে ঘুমিয়ে আছেন। কেউবা বসে আছেন। অনেককেই গল্পে-আড্ডায় সময় পার করতে দেখা গেছে। 

নাটোর থেকে আসা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখানে গতকাল থেকে অবস্থান নিচ্ছি। আমরা ৩ তারিখে এই গণসমাবেশকে সফল করতে যেকোনো কিছু করতে পারি। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে ধর্মঘট দিয়েছে। তবে তারা কোনোভাবেই আমাদের এই গণজোয়ার রুখতে পারবে না। এই সরকারের পতনের মাধ্যমেই আমাদের আন্দোলন থামবে।

নওগাঁ থেকে আসা এক বিএনপির কর্মী বলেন, দুই দিন আগে আমরা সমাবেশে এসেছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই সরকার আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এই সংগ্রামে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।

প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। 

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন চলছে। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আরএআর