আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের জনসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু হলে সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে মাঠে থাকতে হবে। এছাড়া করোনা পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে। 

তিনি বলেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্যে দেশে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে। 

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলছেন, চট্টগ্রামবাসী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এই শক্তির প্রতি জাতির যে আস্থা ও ভরসা রয়েছে, তা যেন ভুল প্রমাণিত না হয়। ষড়যন্ত্র এবং অপঘাত মোকাবিলায় চট্টগ্রামের মাটি বার বার প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের ভালবাসা অর্জন করে রাজপথে থেকে অপশক্তিকে প্রতিহত করা। 

সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দুর্জয় ঘাঁটি। আমরা ব্যক্তির নামে স্লোগান নয়, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যাতে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ওই অপশক্তি আবার একটি ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটানোর যে হুমকি দিচ্ছে, তাদেরকে যাতে নির্মূল করতে পারি, সেই মহাশক্তিকে জাগরিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে কার্যকর ও সংগঠিত শাখা। দলের সব ক্রান্তিকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিল। আবারও প্রমাণ করার সময় এসেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। তাই ৪ ডিসেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে শুধু পলোগ্রাউন্ড ময়দান নয়, সারা চট্টগ্রাম নগরীকে জনসমুদ্রের জনতরঙ্গে উদ্বেলিত করে তুলতে হবে। 

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার জনসভা আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রমাণ করব, ওইদিন চট্টগ্রামের জনতার ঢল মহাপ্লাবনের মতো জেগে উঠবে। চট্টগ্রামে ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। তাই এখানে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করা কোনো ব্যাপার নয়। 

সভায় সঞ্চালনায় করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম। 

এসময় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একেএম বেলায়েত হোসেন, সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেন ও শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

কেএ