লক্ষ্মীপুরে পুলিশকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে আহত করার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা সবুজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের বাজার ব্রিজ এলাকার দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সবুজের নাম মামলার এজাহারে না থাকলেও তিনি অজ্ঞাত আসামি বলে জানা গেছে। 

সবুজ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী এলাকার মৃত সুজায়েত উল্যার ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়েজ আহম্মেদের ছোট ভাই ও পেশায় ব্যবসায়ী।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিদান চৌধুরী বলেন, পুলিশের ওপর কোনো হামলা হয়নি। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা দিয়েছে। এসব মামলা দিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না।

সবুজের বড় ভাই ফয়েজ আহমেদ বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। অন্যায়ভাবে আমার ভাইকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মিছিলের নামে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাজারে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছিল। এতে তাদের অন্য স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বললে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে। তখন আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ওই ঘটনায় সবুজও জড়িত রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। 

প্রসঙ্গত, ২৪ নভেম্বর দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও বাজারে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুজ্জামানসহ তিনজন আহত হয়। এ ঘটনায় আনিছুজ্জামান বাদী হয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ১৫০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি