ফার্মেসিতে ডাকাতি

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দর বাজারে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০ থেকে ২৫ জনের ডাকাত দলটি পাহারাদারসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এ ঘটনা ঘটান। তারা বাজারের ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বেসরকারি ব্যাংকে লুটপাট চালান।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেঞ্জ ডিআইজি এস.এম. আক্তারুজ্জামান।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতি শেষে সন্ধ্যা নদী দিয়ে স্পিডবোট যোগে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

জানা গেছে, শনিবার রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল বাজারে প্রবেশ করে ৯ জন পাহারাদার, বন্দরে চলাচলরত ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারঘাট সংলগ্ন একটি মুদি দোকানের মধ্যে আটকে রাখে। ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা বাজারের রিয়া, কনিকা ও আহাম্মেদ জুয়েলার্স, আল মদিনা ফার্মেসি ও বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট কার্যালয়ের তালা কেটে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটে নেয়।

আল মদিনা ফার্মেসির মালিক বাবুল হোসেন বলেন, ডাকাতরা চারটি তালা কেটে আমার দোকানে ঢুকে নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে গেছে। তিনি জানান, ডাকাত সদস্যদের পড়নে পুলিশের পোশাকে ছিল। আর প্রত্যেকে হেলমেট, মাস্ক ও মুখোশ পরে নিজেদের মুখ ঢেকে রেখেছিল।

আহাম্মেদ জুয়েলার্সের মো. জনি বলেন, আমার দোকান থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৮০ ভরি রুপা নিয়ে যায়। ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংক শাখার নৈশ প্রহরীকে বেঁধে ৬৬ হাজার টাকা নেয়।

কনিকা জুয়েলার্সেরর মালিক জামাল হোসেন সরদার বলেন, তালা কেটে দেড় ভড়ি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। নৈশ প্রহরীরা জানিয়েছেন, একাধিক স্পিডবোটে এসে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি করে আবার নদী পথেই তারা চলে গেছেন।

উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, বন্দরের কয়েকটি দোকানে চুরি হয়েছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে