নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অফিস সহায়িকাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

হাবিবুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিব পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের মৃত বাছান আলীর ছেলে এবং দক্ষিণ রাজীব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান অফিস সহায়িকাকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছেন। পরে স্বামী পরিত্যক্তা ওই অফিস সহায়িকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই শিক্ষক নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একইভাবে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষক হাবিবুর অফিস সহায়িকার বাড়িতে গিয়ে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখান। এ সময় তিনি হাবিবুর রহমানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ওই শিক্ষক আবারও ওই অফিস সহায়িকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে তার ছেলে ও এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতেই ভুক্তভোগী ওই অফিস সহায়িকা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে ওই স্কুলশিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে জেলা ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ