রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রণাঙ্গন ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে হাঁটু গেড়ে মাথা নত করে চলে গেছে পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা এখনো দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সকল শহিদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই ডিজাইনের কবর নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম কবর দেখেই চিনতে পারে এটা বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। সেই সঙ্গে সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ  সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য রেকর্ড করে আর্কাইভের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য ‘বীরের কণ্ঠে বীরগাঁথা’ প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন হয়েছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায়ের সভাপতিত্বে ধনুয়া কামালপুর হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য  আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য  আলহাজ ফরিদুল হক খান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাবেক মুখ্য সচিব ও এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা  সুজাত আলী ফকীর।

আরএআর