যাত্রী না থাকায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চারটি লঞ্চ তাদের যাত্রা বাতিল করেছে। তবে একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। যদিও যাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া লঞ্চটিতেও যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক নগন্য। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এমন চিত্র দেখা গেছে বরিশাল নদী বন্দরে।

বিআইড‌ব্লিউ‌টিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রা‌ফিক ব্যবস্থাপনা বিভা‌গের প‌রিদর্শক মো. ক‌বির জানিয়েছেন, আজকে বরিশাল থেকে ঢাকায় মোট ৫টি লঞ্চ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আশানুরুপ যাত্রী না পেয়ে এমভি পারাবত ১৮, প্রিন্স আওলাদ, সুরভী ৭ ও সুন্দরবন ১১ তাদের যাত্রা বাতিল করেছে। এমভি পারাবত-১১ লঞ্চটি ঢাকায় যাবে বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত।

বিআইড‌ব্লিউ‌টিএর এই কর্মকর্তা বলেন, পারাবত-১১ লঞ্চটি গেলেও অন্যদিনের তুলনায় অত্যন্ত কম যাত্রী। এখন পর্যন্ত ডেক ফাঁকা। নদী বন্দরেও এতোবেশি যাত্রী নেই।

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইড‌ব্লিউ‌টিএর উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক একই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, অন্যদিনের তুলনায় নদী বন্দরে আজকে যাত্রী খুবই কম। এজন্য চারটি লঞ্চ ঢাকা যাচ্ছে না বলে আমাদের জানিয়েছে।

ওদিকে, ঢাকা থে‌কেও শুধু এমভি শুভরাজ ব‌রিশা‌লের উদ্দেশ্যে এবং এমভি ফারহান ৭ ঢাকা থে‌কে বরিশাল ভায়া হয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে।

লঞ্চ স্টাফরা জানিয়েছে, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ এবং তৈরি হওয়া প্রেক্ষাপটের কারণে বরিশালে যাত্রী সংখ্যা অত্যন্ত কম।

ব‌রিশাল মহানগর বিএন‌পির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে আমাদের কেন্দ্রীয় গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য। এর আগেও বিভাগীয় সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে সব ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু সরকার সফল হবে না। আমাদের অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছে।

মহানগর বিএন‌পির আহ্বায়ক ম‌নিরুজ্জামান ফারুখ জানিয়েছেন, এসব বন্ধ করে দেবে তা আমরা আগেই জানতাম। এসব হীন চেষ্টা আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। আমরা এসব ধারণা করে আ‌গেই ঢাকা এ‌সে‌ছি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস