আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ১৮৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রামগতি পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাফু এ মামলা দায়ের করেন। হামলায় তিনি আহত হন।

উপজেলা বিএনপির দাবি, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চাঁদা উঠানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাদের নিজেদের লোকজনই ভাঙচুর চালায়। এটি তাদের দলীয় কোন্দালের কারণে ঘটেছে। হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা মাফু আলেকজান্ডার বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে ছিল। এ সময় হঠাৎ বিএনপি লোকজন এসে কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে মাফুকে এলোপাতাড়ি মারধর করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাফুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউছুফ পাটওয়ারী বলেন, মাফুকে একা পেয়ে বিএনপির লোকজন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে মারধর করে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিতভাবে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত মাফু মামলা দায়ের করেছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, সিএনজির চাঁদা উঠানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেই তাদের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। শুধু শুধু আমাদের নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মীই ঢাকায় আছেন। এ হামলার ঘটনায় আমাদের কোনো নেতাকর্মীরা জড়িত নয়।

রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসান মাহমুদ শাকিল