ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন এক নারী।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে নেননি রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনির হোসেন। ওসি বলছেন, মামলা দিলেই নিতে হবে; এমন কোথাও লেখা নেই। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী।

ওই নারীর বাবা জানান, পাঁচ মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মেয়েকে ফোন করলে কথা বলতে দিতেন না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সন্দেহ হওয়ায় তিনি রামগড় এসে জানতে পারেন মেয়েকে মহিউদ্দিন মেম্বারের হাতে তুলে দিয়েছেন শ্বশুর-শাশুড়ি ও তার স্বামী। পরে মহিউদ্দিন একাধিকবার তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। পাঁচ মাসে তার মেয়েকে চারবার ধর্ষণ করেছেন মহিউদ্দিন। লজ্জায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছে তার মেয়ে।

এ অবস্থায় রামগড় থানায় মামলা করতে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা শুনে মামলা নেননি রামগড় থানার ওসি (তদন্ত) মনির হোসেন। শনিবার (০৬ মার্চ) সারাদিন থানায় বসিয়ে রেখে তাকে হয়রানি করেছেন ওসি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে দুই ঘণ্টা বৈঠক করে ফিরে যায় পুলিশ। এরপর থেকে ইউপি সদস্যের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই নারী ও তার বাবা।

জানতে চাইলে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনির হোসেন বলেন, মামলা দিলেই নিতে হবে এমন কোথাও লেখা নেই। অভিযোগে সন্দেহ আছে। যাচাই করে দেখব; মামলা নেওয়া যায় কিনা। ঘটনাটি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি বিধায় মামলা নিইনি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।

মো. জাফর সবুজ/এএম