গাইবান্ধায় পুলিশের কাছে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার কার্যালয়ে পরিবারসহ সংবাদ সম্মেলন করেন পৌরসভার চকমামরোজপুর এলাকার সাজেদুর রহমান। 

হামলার সময় পুলিশ না আসায় তার ও তার পরিবারের ওপর বিরোধী পক্ষের অস্ত্রের আঘাতে ৭ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে সাজেদুর রহমান বলেন, তার চাচা নান্টু মিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে জমিজামা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত শনিবার বিকেলে অন্যায়ভাবে তাদের বাড়ির জমি দখলের পায়তারা করতে থাকে নান্টুর লোকেরা। এক পর্যায়ে তারা জমিতে ঢুকে ইটের প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে একাধিকবার গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে অবগত করে আসার অনুরোধ জানানো হয়। তাদের জোরপূর্বকভাবে নির্মাণ করা কাজে বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করার প্রস্তুতিও ছিল তাদের। আমরা বিষয়টি টের পেয়ে আশঙ্কা থেকে দফায় দফায় ফোন করি সদর থানা পুলিশকে। তাতেও কোনো সাড়া না পেয়ে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। তবুও আসেনি পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে জোরপূর্বকভাবে ওই নির্মাণকাজে আমিসহ কয়েকজন মিলে বাধা দিতে গেলে পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া তাজুল ইসলাম নান্টুর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমি ও আমার ভাইদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এক পর্যায়ে রাজিব নামের এক ব্যক্তি ধারালো ছুড়ি দিয়ে আমার ভাই মমিনুল ইসলাম বাবুর মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ইমরান নামের আরেক ব্যক্তি লোহার পাইপ দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু মাহফুজার রহমানের মাথায় আঘাত করলে তিনিও গুরুত্বর জখম হন। এদিন ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের সবাইকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। অথচ উল্টো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। 

পুলিশের সহায়তায় তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মলনে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া পুলিশকে একাধিকবার ফোন করেও তারা  কেন ব্যবস্থা নিল না বা হাজির হলো না? বিষয়টি খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি। এছাড়া এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে সদর ঘটনায় বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন বলে জানান সাজেদুর রহমান।

রিপন আকন্দ/আরকে