কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২৭
সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ ছয়জন আহত হয়
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে মঙ্গলবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি, হামলা-পাল্টা হামলা ও নিহতের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, ইটের টুকরা, জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা চলছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানীঞ্জ পৌর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সকাল থেকে বসুরহাটে পুলিশের কঠোর টহল রয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ আদেশ চলাকালে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা, যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৌর শহরে চারজনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ মার্চ) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য।
হাসিব আল আমিন/এসপি