সিরাজগঞ্জে ৭০ ঘটনায় দুই শতাধিক অপমৃত্যু!
সিরাজগঞ্জে হত্যা, আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, ট্রেন দুর্ঘটনা, নৌ দুর্ঘটনা, বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মৃত্যুসহ ২০২২ সালে মোট দুই শতাধিক অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক-মহাসড়কে পরিবহন দুর্ঘটনায় এবং ২৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের ১০৫ কিলোমিটার মহাসড়ক বরাবরই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে খ্যাত। প্রতি বছরই এই রুটে শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া লিংক রোডগুলোতেও ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালে সব রুটে অন্তত ৭০টির মতো ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রেলসড়ক ও সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রেলসড়কে ১১টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালে জেলায় মোট ২৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আকবর হোসেনকে (৪৬) গুলি করে হত্যা। এরপর আলোচনায় আসে বেলকুচিতে একই পরিবারের মা ও দুই ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা। স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উৎঘাটন করে পুলিশ। চুরি করতে দেখে ফেলায় এই তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান ভিকটিমের মামা।
এছাড়াও পারিবারিক দ্বন্দ্ব, জমি নিয়ে বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, পূর্ব শত্রুতা, দুই পক্ষের সংঘর্ষেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরাবরের মতো ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যুর আধিক্য ছিল। সেপ্টেম্বরে উল্লাপাড়ায় ভয়াবহ বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ছিল একই পরিবারের পাঁচজনের প্রাণ। সারা বছর মোট ৯টি বজ্রপাতের ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
পারিবারিক কলহের জেরে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন ২৫ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
অপরদিকে, পানিতে ডুবে ও নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। বিদ্যুৎপৃষ্টে ১২টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন ও সেপটিক ট্যাংকে পড়ে নিহত হয়েছেন ১ নির্মাণ শ্রমিক।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি ও মামলা দিচ্ছি। এছাড়াও চালকদের সচেতন করতে নানাবিধ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি আগের চেয়ে মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমে আসবে।
শুভ কুমার ঘোষ/এমএএস