ফাইল ছবি

বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি হতে পারে এমন খবরের ভিত্তিতে বেশ কিছু এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মসজিদ থেকে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয় বলে জানা গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টা থেকে সদর উপজেলার ঢলুয়া, বুড়িরচর, এম বালিয়াতলী ও নলটোনা ইউনিয়নে ডাকাতি হতে পারে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে এসব এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

এমনকি পুলিশের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ডাকাত পড়ার খবর প্রচার হতে থাকে। তবে পুলিশ বলছে, জেলার কোথাও ডাকাতির খবর পাওয়া যায়নি।

ঢলুয়া ইউনিয়নের কয়েকজন জানান, রাত ৮টার দিকে মাইকিং করা হয় যে ডাকাত পড়েছে। এমন খবরে আমরা পাহারা দেওয়া শুরু করি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সজাগ অবস্থানে রয়েছেন। তবে কোথাও ডাকাতির খবর শোনা যায়নি।

ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোকলেসুর রহমান বলেন, ডাকাত পড়ার খবর আমাদের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এরপর থেকে এলাকার লোকজন ও গ্রাম পুলিশ নিয়ে টহল দিচ্ছি। অপরিচিত কাউকে পেলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।

ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, আমার ইউনিয়নে ডাকাত দল ঢুকতে পারে বলে থানা থেকে সতর্ক করা হয়। সেজন্য ইউনিয়নবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হয়। জানতে পারি, বড়ইতলা ফেরিঘাট থেকে একটি অপরিচিত ট্রলারে করে ৬ জন আমার ইউনিয়নে ঢুকেছেন। তবে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়রা সম্মিলিতভাবে এলাকা পাহারা দিচ্ছে। 

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস সালাম  বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় চুরি-ডাকাতি হচ্ছে। এজন্য আমরা জেলার সকল জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশদেরকে সজাগ থাকতে বলেছি। তবে জেলার কোথাও কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি, এটি সম্পূর্ণ গুজব। পুলিশ সজাগ অবস্থানে রয়েছে।

খান নাঈম/ওএফ