নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানচিত্র-ভূখণ্ড  দিয়েছেন, শেখ হাসিনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে অসংখ্যবার মারার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীরা মানবঢাল হয়ে রক্ষা করেছেন। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। 

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পাবলিক হল চত্বরে লোক সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইভী আরও বলেন, কেবল শেখ হাসিনার জন্যই আমরা দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। নেত্রীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, নেত্রীর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের দরকার ঐক্য, ঐক্য এবং ঐক্য। 

আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ অনেক উন্নয়ন করেছে। আমি ১০ বছর আগেও নোয়াখালী এসেছি,  কিন্তু এত সুন্দর রাস্তা তখন ছিল না। ঢাকা-চট্টগ্রাম দৃষ্টিনন্দন হাইওয়ে হয়েছে।  সে রকম বরিশালেও উন্নয়ন হয়েছে। গ্রামে গ্রামে এসব উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। 

আইভী বলেন, মানুষের জন্য কিছু করতে হলে সঠিক রাজনীতি করতে হবে। আমাদের সঠিক রাজনীতি শিখিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ হলো একটি আদর্শ, একটি অনুভূতি। তাই আওয়ামী লীগের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। 

উৎসবের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ। তিনি বলেন, লোক সাংস্কৃতিক উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। গ্রামীণ জীবনে অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে লোক সংস্কৃতির সচেতন চর্চা এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করা সম্ভব। 

উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল ফারাহ পলাশ বলেন, এই উৎসব আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মূলধারা। এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী। চারদিকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে যারা দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের রুখে দাঁড়াবার অঙ্গীকার নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন। 

অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ, নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসীর আরাফাত, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেসমিন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

উৎসবে নোয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে আঞ্চলিক গানসহ গীতিনাট্য উপস্থাপন করা হয়। গ্রামীণ ঐতিহ্য লোকগান,পালাগান দেখতে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন হাজারো দর্শক। গভীর রাত পর্যন্ত চলে পালাগান, লোক সংগীত ও বাউল গান। এতে অংশগ্রহণ করেন ফারজানা ইভা, বেলাল হোসেন, বোরহান উদ্দিন, আব্দুর রহমান, সজল মজুমদার প্রমুখ। 

হাসিব আল-আমিন/আরএআর