গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাব্বিরের বিরুদ্দে দুটি মসজিদের নামে বরাদ্দ হওয়া সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান দিদ্দিককে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুইজন সদস্য হলেন- সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল আলম এবং কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া।

এর আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর ‘ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্টডটকম। সংবাদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) সাধারণ এর দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলাভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়নের রোস্তমের মোড়ে অবস্থিত নূরে রহমত জামে মসজিদের নামে বরাদ্দ হওয়া টিআর-এর ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে মসজিদ কমিটির হাতে মাত্র ১৪ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৪১ হাজার টাকা প্রকল্পের সভাপতি মহিলা সদস্যের স্বামী মাহবুর রহমান, ছয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান মোসাব্বির ভাগ–বাঁটোয়ারা করে নেন।

এছাড়া ইউনিয়নের অপর একটি প্রকল্প জগৎরায় গোপালপুরের জাবালে রহমত জামে মসজিদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫৭ হাজার টাকা। ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল হোসেনকে প্রকল্প সভাপতি বানিয়ে মসজিদে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৩২ হাজার টাকা একাই আত্মসাত করেন। মসজিদ সংস্কারের সরকারি অর্থ চেয়ারম্যান মোসাব্বির আত্মসাত করার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে এলাকায় বেশ চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ