আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলো নানা রকম নাটকে লিপ্ত হয়েছে। নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না- এই সমস্ত কথা অহরহ বলছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, নেত্রী বলেছেন, ওবায়দুল কাদের ভাই বলেছেন, নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক হবে। 

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেয়র লিটন বলেন, আর কখনো বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, আদালত থেকে সেটি বলে দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই হয়ে গেছে। আদালতের বিরুদ্ধে তারা কোন দুঃসাহসে কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আজকে যখন সারাবিশ্বে আর্থিক মন্দা, বাংলাদেশের মানুষ কি তা বুঝতে পারছে? সেই মন্দার আঁচ কি বেশি করে লাগছে? আমরা পরিষ্কার বলতে পারি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তাদের দেশে দেশে তীব্র শীত। শীতের মধ্যে তাদের পানি গরম লাগে, ঘর গরম করতে হয়, হিটার জ্বালাতে হয়, তাদের সেই গ্যাস নেই, তাদের সেই জ্বালানি নেই, তাদের দোকানে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য নেই। তাদের মুদ্রাস্ফীতি ১০, ১১, ১২ এর ওপরে পৌঁছে গেছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, এমনকি রাজশাহী বিভাগের মানুষ পর্যন্ত এই আঁচ এখনো টের পাচ্ছি না। কারণ আমাদের একজন দক্ষ নেত্রী, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক আছেন। তিনি একজন সফল অর্থনীতিবিদও বটে। তিনি জানেন কখন কোন দ্রব্যের দাম কমাতে হবে, কোনটা আমদানি করতে হয়, কখন আমদানি করতে হবে না। কখন জনগণকে উৎসাহ দিতে ইনসেনটিভ দিতে হবে, কখন দিতে হবে না। এসব কিছুই নেত্রী শেখ হাসিনা খুব ভালোভাবেই রপ্ত করে ফেলেছেন। সেই কারণেই আমরা জানি যতদিন নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে যত উন্নয়ন করেছেন, তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বলেও শেষ করা যাবে না। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আগামীতেও ক্ষমতায় আনতে হবে। তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মী কাজ করলে আবারও নৌকার বিজয় হবে। রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা লোকে লোকারণ্যে পরিণত হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার প্রমুখ।

সভায় রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানাসহ রাজশাহী বিভাগের সব জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দেন।

আরএআর