রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাদরাসা ১৯ ছাত্রী। তাদের গোদাগাড়ী উপজেলা ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে পৌর এলাকার বুজরুকরাজারামপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে অবস্থিত মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার ১৯ জন ছাত্রীর পেট ব্যাথা দেখা দেয়। ব্যাথায় কয়েকজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। 

অসুস্থ ছাত্রীরা হচ্ছে- তান্নি (৯), মীম (৮), ইশিতা (৮), লামিয়া (৯), লামিয়া ৭), হাসি (১২), তহুরা (১১), ফোরকান (১১), কুলসুম (১০), আমেনা (১১), তাসলিমা (১০), ইমা (১১), শারমিন (১২), খাতিজা (৬), সাহেহা (৭), সুমাইয়া (৫), নাহিদা (১১), শারমিন (১১), ইসরাত (১০)। 

এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসাপাতলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান। ছাত্রীরা আবাসিকভাবে হিফজুল কোরআন (হাফেজিয়া) শিক্ষা গ্রহণ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার স্থানীয় একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে মাদরাসার ১৯ জন ছাত্রী পেটের পিড়া দেখা দিলে কয়েকজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পীড়া দেখা দেয়। 

মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদ্রাসার সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, পৌর খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ তৈরি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রীরা। ওই খাবার খাওয়ার পর তারা আর কোনো খাবার খায়নি।

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসা চলছে। কী কারণে অসুস্থ হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।

রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরে তারা মুরগির মাংস, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছে। কী করণে এমনটি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়।

আরকে