মাদারীপুরের সদর উপজেলায় কিশোর গ্যাং-এর দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৯৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আরও ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের নয়াচর এলাকায় কিশোর গ্যাং এর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোমান সরদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আটককৃতরা হলেন- নয়াচর গ্রামের মোকসেদ মোল্লার ছেলে মিঠু মোল্লা (২৬), একই গ্রামের আসলাম মোল্লার দুই ছেলে রাসেল মোল্লা (২২) ও রাসেদ মোল্লা (১৯), জাফর মীরের ছেলে হৃদয় মীর (১৫) এবং উজ্জ্বল চৌকিদারের ছেলে অনিক চৌকিদার (১৪)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকার হক খার ছেলে মিন্টুর খার সঙ্গে কুদ্দুস ফরাজীর ছেলে ফরিদ ফরাজীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসিছল। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মিন্টু খানের সঙ্গে ফরিদ ফরাজীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ সময় ৪ পুলিশসহ আহত হয় অন্তত ১২ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর থানার পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। 

এ বিষয়ে মাদারীপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অন্য সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রাকিব হাসান/আরকে