কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় রঙ্গিলা খাতুন নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া এলাকার তামাকের মাঠে ঘটনাটি ঘটে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ ক্যানেলের পার্শ্ববর্তী ওই তামাকখেতের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা।

নিহত রঙ্গিলা (৩৫) নওদাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই এলাকার মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে মাঠে ছাগল আনতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রঙ্গিলা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে কোথাও পায়নি পরিবারের সদস্যরা। পরে রোববার সকালে তার প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম মাঠে ঘাস কাটতে গেলে তামাকখেতে রঙ্গিলার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, রঙ্গিলা খুব সাধারণ নারী ছিলেন। তবে তিনি একটি মামলার সাক্ষী ছিলেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রঙ্গিলার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে যারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি চাই। পারিবারিকভাবেও আমাদের মধ্যে কোনো কলহ ছিল না। কারা এমন কাজ করছে, বুঝতে পারছি না। পুলিশ চাইলে তদন্ত করে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারবে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, রঙ্গিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা কী কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে।

রাজু আহমেদ/এমএসআর