নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরে পল্লিকবি জসীমউদদীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। রোববার (১৪ মার্চ) সকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের পল্লিকবির সমাধীস্থলে জেলা প্রশাসন, জসীম ফাউন্ডেশন, আনছারউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। 

পরে কবির বাড়ির আঙ্গিনায় জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, দীপক কুমার রায়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশার্রফ আলী, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কাজী গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জসীমউদদীন ছিলেন গ্রাম বাংলার কবি, তার লেখনি গ্রামের রুপকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের শিশু-কিশোরদের পল্লিকবির জীবন ও কর্ম সর্ম্পকে বেশি করে জানাতে হবে। তবেই নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য বুঝতে পারবে।

প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের ছায়া ঢাকা পাখি ডাকা নিঝুম পাড়া গাঁ তাম্বুলখানা গ্রাামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পল্লিকবি জসীমউদদীন। কবির বাবার নাম আনছারউদ্দীন, মাতার নাম আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। 

কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। 

তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এমএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে তিনি অবসর নেন।

পল্লিকবি জসীমউদদীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী। এরপর তার ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন।  

বি কে সিকদার সজল/এমএএস