আরও ৫৩ পরিবারের ২৭৩ সদস্যকে ঘুমধুমস্থ ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্য রেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। গত দুই দিনে ৪৫৭ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে ২ দিনে ৮৮ পরিবারের ৪৫৭ জনকে সরানো হলো। প্রথম দিন রোববার ৩৫ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাবু টানিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৫৫৮ পরিবারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, প্রথম দিন আনা ১৮৪ জনের মধ্যে যাদের পূর্ব থেকে নিবন্ধন ছিল তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা নিবন্ধিত নন তাদের নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া করে ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাবু টানিয়ে আশ্রয় নেন।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে তুমব্রু ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত। গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় তারা।

সাইদুল ফরহাদ কক্সবাজার/এমএএস