ভারতীয় জামাতের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে পিরোজপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর কুমিরমারা প্রান্তে এ ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পিরোজপুর জেলা ইজতেমা আয়োজক কমিটির সহযোগিতায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিচ্ছেন। এছাড়া ইজতেমা সফল করতে ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা থেকে চারটি জামাত অংশ নিয়েছে। সকাল থেকে বয়ান করছে ভারতীয় একটি জামাত। আগামী শনিবার বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেকসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ইজতেমাকে ঘিরে আশপাশের এলাকায় দোকানপাট গড়ে উঠেছে।

জামাত নিয়ে আসা আমির হোসেন মাঝি বলেন, আমরা টঙ্গীতে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তাই জেলা ইজতেমায় সবাই মিলে অংশগ্রহণ করছি। দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। আখেরি মোনাজাত শেষে একসঙ্গে বাড়িতে ফিরব সবাই।

জামাত নিয়ে আসা ওবায়দুল হক বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাথীদের নিয়ে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করলাম। কোনো সমস্যা ছাড়াই আখেরি মোনাজাত শেষে ইনশাআল্লাহ বাড়ি ফিরব।

সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করা মুসল্লিদের কোনো প্রকার সমস্যায় পড়তে না হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন। ইজতেমার কার্যক্রম সফল করার জন্য জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা থাকছে।

মো. আবীর হাসান/এমজেইউ