মুন্সীগঞ্জে বোন জামাইয়ের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার তিন শ্যালককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শিলই ইউনিয়নের শিলই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মো. শামীম বেপারি (৪৫), সোহেল বেপারি (৪০) ও ইব্রাহীম বেপারি (৩৫)।

শিলই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লিটন বেপারীর ছোট ভাই ইসমাইল বেপারী ওই আহত তিন ভাইয়ের সম্পর্কে বোন জামাই হন।

স্থানীয়রা জানান, শিলই এলাকার ইসমাইল বেপারীদের সঙ্গে স্থানীয় শাহাদাত বেপারীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটে। গত দুমাস আগে ইসমাইল বেপারী ও তার পরিবার বিরোধের কারণে এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করছেন।

পরে মঙ্গলবার ইসমাঈলের স্ত্রীর ছোট ভাই ইব্রাহীম দিঘী পার বাজারে যায়। সেখানে শাহাদাত বেপারী তার লোকজন নিয়ে ইব্রাহীমকে মারধর করে। ঘটনা শুনে শামীম ও সোহেল বেপারীও বাজারে যান। সেখানে শাহাদাতের লোকজন তিন ভাইকে চাপাতি, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল পোশাক জানান, রাত ৮টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আপন তিন ভাইকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতদের ভাই সোহাগ বেপারী বলেন, আমাদের বোন জামাই ইসমাইলের সঙ্গে শাহাদাত বেপারীর ঝগড়া ছিল। আমরা তা এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। আমরা শাহাদাতের ভয়ে ছিলাম। আমার বোন জামাইকে না পেয়ে আমার তিন ভাইকে কুপিয়েছে শাহাদাতরা। দুজনের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাহাদাত বেপারীর মুঠোফোনে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, শিলই এলাকায় মারামারির ঘটনা কথা শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কেন, কারা, কী কারণে মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।

ব.ম শামীম/আরকে