পিরোজপুরে বিএনপি-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের দেওয়া মামলায় বিএনপির আহ্বায়কসহ ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন। 

এরা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাসির মল্লিক, জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ শিকদার ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার।

আদালত সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করে। একই সময় জেলা বিএনপির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা গণমিছিল নিয়ে বের হয়। ২টি মিছিল জেলা কালেক্টরেট স্কুলের মূল গেটে পৌঁছলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনের নির্দেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানাসহ সব আসামিরা বোমা হামলা করে। পরে বিএনপি-ছাত্রলীগের মধ্যে শহরের পোস্ট অফিস সড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ মোট ছয়জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই রায় মানি না। এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এই সরকারের কাছে মুক্তি চাইব না আমরা মুক্তি চাইব এ দেশের জনগণের কাছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খাইরুল ইসলাম বাশার বলেন, আমরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কারাগারে প্রেরণকারীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম বাদী হয়ে সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ দেড়শ জনকে আসামি করা হয়।

আবীর হাসান/আরকে