শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাকবীর ইসলাম খান

বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সোমবার রাতে ১০টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

তাকবীরের মৃত্যুর খবর শোনার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত ছাত্রলীগ নেতা বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। এ সময় তাকবীরের মা আফরোজা ইসলামের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুল-সংলগ্ন সাতমাথায় ঘটনাটি ঘটে। ১৪ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের নামে মামলা করেছেন।

অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবীর ইসলাম খানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের মামলা করেছেন।

জানা যায়, ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধুনটে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হন। পথিমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের তাকবীর ইসলামের মোটরসাইকেলের সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফের এক কর্মীর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বিষয়টি সমাধান করে দেন।

সমাবেশ শেষে সাতমাথায় জিলা স্কুল-সংলগ্ন বিলবোর্ড এলাকায় মোটরসাইকেলে ধাক্কার ঘটনায় তাকবীর ইসলাম খান ও আব্দুর রউফের কর্মীরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান ছুরিকাঘাতে আহত হন। এ সময় তার কর্মী শান্ত, ইমন, শাফিন ও হাবিব আহত হয়।

অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ পক্ষের কর্মী দুলাল, জাহিদ হাসান, সানজিদ, রাজন আহত হয়।

এদিকে মামলার ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর