ঢাকার ধামরাইয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি বেদেনাকে (৭০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্বামী মিজান মোল্লা (৫০) পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক তদন্ত কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়নের মধ্য ফরিঙ্গা গ্রামের মিজান মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম কামরুন্নাহার লক্ষ্মী (৩৫)। তিনি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফোর্টনগর মোল্লাপাড়ার কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে।

নিহত লক্ষ্মীর ভাগনে আলিম মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ভাগনি বিয়ে দিছি ফড়িঙ্গা মধ্যপাড়ার মিজান মোল্লার সঙ্গে। তার সৎমা ঘরে। সৎমা ও মিজান সব সময় আমার ভাগনিকে অত্যাচার ও অমানবিক নির্যাতন করত। সৎমা বেশি নির্যাতন করত। দুজনই মাঝেমধ্যেই মারধর করত। আমরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে নিয়ে এনে রাখতাম। ভাগনির একটা ছেলে আছে। ওই ছেলেটার দিকে তাকায়া আবার যাইত।

তিনি আরও বলেন, গয়নার জন্য রাতে অনেক মারধর করেছে তাকে। সারা রাত মারার পর আমার ভাগনিকে গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলাইছে। আমরা গিয়ে দেখছি ঘরের বারান্দায় মরদেহ রেখেছে। পরে গ্রামবাসী আটক করে তার শাশুড়িকে পুলিশে দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, কামরুন্নার নামের ওই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সকাল ছয়টার দিকে পুত্রবধূকে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি বেদেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে জানান, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা কুদ্দুস মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত গৃহবধূর স্বামী মিজান মোল্লাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ