পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিঠামইনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে দুপুর ২টায় কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে মিঠামইন সদরের কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করবেন তিনি।

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইনে এসে সেনানিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেনানিবাসে তিনি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কামালপুর গ্রামের বাড়িতে যাবেন। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন ও বিশ্রাম নেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে সুধী সমাবেশে বক্তৃতা করবেন। এরপর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফিরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মো. নবীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জেলার মিঠামইন, করিমগঞ্জ ও সদর উপজেলা সফর করবেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাষ্ট্রপতির ছেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে হাওরের প্রবেশ পথ ও পয়েন্ট। হাওরে সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্রে করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে। 

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ৩রা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী আবার মিঠামইন সফরে আসছেন।

এসকে রাসেল/আরকে